খোয়াইতে দুটি বিদ্যালয়ের সংস্কারকাজ নিয়ে বিধায়কের অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া ঠিকাদারের, অভিযোগ নস্যাৎ করলেন খুদ সুশান্ত গোপ

Spread the love

খোয়াইতে দুটি বিদ্যালয়ের সংস্কারকাজ নিয়ে বিধায়কের অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া ঠিকাদারের, অভিযোগ নস্যাৎ করলেন খুদ সুশান্ত গোপ

✍️ নিজস্ব সংবাদদাতা, যশপাল সিং, ত্রিপুরা

রামচন্দ্রঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের তিপ্রামথা পার্টির বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা সম্প্রতি পদ্মবিল ব্লকের অধীন দুই বিদ্যালয়ের সংস্কারকাজে দুর্নীতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে সরব হন। তিনি দাবি করেন, বরাদ্দ অর্থের যথাযথ ব্যবহার হয়নি এবং মাত্র এক লক্ষ টাকা ব্যয় করে দায়সারা কাজ হয়েছে।

তবে এই অভিযোগকে সরাসরি নস্যাৎ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সুশান্ত গোপ। সংবাদমাধ্যমকে ফোনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি জানান— “আমার কাছে দপ্তরের দেওয়া কমপ্লিশন সার্টিফিকেট রয়েছে। সরকারী নির্দেশ মতোই কাজ হয়েছে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ম্যানেজমেন্ট কমিটি বা ইঞ্জিনিয়ার—কেউই কাজ নিয়ে আপত্তি তোলেননি। বরং সার্টিফিকেট দিয়ে বিল পরিশোধ করা হয়েছে।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন— “যদি কাজের মান খারাপ হতো তবে ইন্সপেকশনে তা ধরা পড়তো। তখন কি দপ্তর শংসাপত্র ইস্যু করত?”

বিধায়কের দাবি অনুযায়ী ৭ লক্ষ টাকার পরিবর্তে মাত্র ১ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে—এই অভিযোগের জবাবে সুশান্ত গোপ বলেন, “এমন হলে কাজের মান কখনোই টেকসই হতো না। অথচ বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি। তদন্ত হোক, সত্য সামনে আসবেই।” সাথে তিনি সংবাদ প্রতিনিধির কাছে কমপ্লিশন সার্টিফিকেটের কপিও পাঠান।

বিধায়কের গুরুতর অভিযোগ ও ঠিকাদারের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার পর গোটা বিষয়টি ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। একদিকে জন প্রতিনিধি দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন, অন্যদিকে ঠিকাদার সরকারি নথি দেখিয়ে দাবি করছেন তাঁর কাজ সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে হয়েছে। এখন তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য কতদূর সামনে আসে, সেটাই দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *