বিজেপি, আইপিএফটি ও সিপিএআই(এম) বিধায়কদের সমর্থন চাইলেন ডেভিড মুরাসিং, যোগ দিচ্ছেন প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মাও

নিজস্ব সংবাদদাতা, যশপাল সিং, ত্রিপুরা:
সিপিআই(এম) বিধায়ক ও রাজ্য কমিটির সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী এবং বিজেপি বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া এবং উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী তথা আইপিএফটি দলের নেতা শুক্লাচরণ নোয়াতিয়াকে চিঠি তিপ্রামথা পার্টির। দিল্লির যন্তর মন্তরে গ্রেটার টিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য বার্তা দিলেন ডেভিড মুরাসিং। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার আদিবাসী জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা, ‘গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’ রাজ্য গঠন এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নের দাবিতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে দিল্লির যন্তর মন্তরে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেভিড মুরাসিং । এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন চেয়ে তিনি রাজ্যের সকল বিধায়ক, এমডিসি, ইএম, বিরোধী দলনেতা এবং মন্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখেছেন। এই সমাবেশে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন তিপ্রামথা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা, তবে তিনি ‘তিপ্রামথা প্রতিষ্ঠাতা’ হিসেবে নয়, বরং ‘প্রদ্যোৎ মাণিক্য’ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

ডেভিড মুরাসিং তার চিঠিতে ‘গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’ (রাজ্য) গঠনের সাংবিধানিক কাঠামো, তিপ্রাসা অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন এবং রাজ্য থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নের মতো দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত দাবিগুলোর উপর জোর দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এই তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য পূরণের মাধ্যমে ত্রিপুরার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক পরিচয় রক্ষা করা সম্ভব হবে।

মুরাসিং আরও জানান, গত ৫ জুলাই, ২০২৫ তারিখে আগরতলা থেকে দিল্লিতে যন্তর মন্তর পর্যন্ত এক দীর্ঘ পদযাত্রা শুরু হয়েছে, যার সমাপ্তি হবে ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে যন্তর মন্তরে। এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মাধ্যমে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের দাবিগুলো জোরালোভাবে তুলে ধরবেন। তিনি সকল রাজনৈতিক দলের সদস্য, বিধায়ক, এমডিসি, ইএম এবং সাধারণ মানুষকে এই আন্দোলনে সামিল হয়ে ত্রিপুরার আদিবাসী জনগণের অস্তিত্ব ও অধিকার রক্ষায় সমর্থন জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, এই সমাবেশে প্রদ্যোৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মার যোগদান এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “৯ই সেপ্টেম্বর আমি ডেভিড মুরাসিংয়ের সাথে আমাদের সাংবিধানিক অধিকারের ইস্যুতে সংহতি জানাতে দিল্লির যন্তর মন্তরে উপস্থিত থাকব। আমি প্রদ্যোৎ মাণিক্য হিসেবে যাব, তিপ্রামথা প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নয়। রাজনৈতিক দল আমার মানুষের চেয়ে বড় হতে পারে না!”