ত্রিপুরার বিলোনিয়া হাসপাতালে বিদ্যুৎহীন বিভীষিকা, তীব্র গরমে ছটফট করছেন রোগী ও পরিজনরা

Spread the love

ত্রিপুরা দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালে চলছে অমানবিক অবস্থা। হাসপাতালে নেই বিদ্যুৎ, নেই বাতাসের কোনও ব্যবস্থা—ফলে তীব্র গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। কেউ ঘেমে অস্থির, কেউ ক্লান্তিতে লুটিয়ে পড়ছেন, আবার কেউ মোবাইলের আলোতে রক্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। হাসপাতালের এই করুণ চিত্র যেন অন্ধকারে ডুবে থাকা এক বাস্তব।

তীব্র গরমে ছটফট করছেন রোগী ও পরিজনরা

ত্রিপুরার বিলোনিয়া হাসপাতালে বিদ্যুৎহীন বিভীষিকা: তীব্র গরমে ছটফট করছেন রোগী ও পরিজনরা

ত্রিপুরা দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালে চলছে অমানবিক অবস্থা। হাসপাতালে নেই বিদ্যুৎ, নেই বাতাসের কোনও ব্যবস্থা—ফলে তীব্র গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। কেউ ঘেমে অস্থির, কেউ ক্লান্তিতে লুটিয়ে পড়ছেন, আবার কেউ মোবাইলের আলোতে রক্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। হাসপাতালের এই করুণ চিত্র যেন অন্ধকারে ডুবে থাকা এক বাস্তব।

প্রসূতি বিভাগ থেকে শুরু করে মহিলা বিভাগ—একটানা দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎবিহীন ছিল হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটগুলি। ভেন্টিলেশন নেই, ফ্যান বন্ধ, গরমে অসহ্য অবস্থা—এমন চিত্র হাসপাতালের ঘরে ঘরে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হল, এত বড় সমস্যা সত্ত্বেও হাসপাতালে কর্তব্যরত কোনও সিনিয়র চিকিৎসক বা প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ সুব্রত দাস সাংবাদিকদের ফোন তো ধরেনইনি, বরং অভিযোগ উঠেছে—ফোন নম্বর দেখেই ব্লক করে দিয়েছেন। এমনকি হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMO)-র সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফলে অসহায় রোগী ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে—এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা কোথায়?

রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, “আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছি, বিদ্যুৎ নেই, কোনও ডাক্তার ফোন ধরছে না—এটা কোন ধরনের পরিষেবা?”

এই ঘটনায় গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁরা ত্রিপুরা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এবং বিলোনিয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবায় জরুরি নজরদারির আর্জি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *