মাত্র ২০ টাকার অপবাদে কিশোরের আত্মহনন, শোকের ছায়া কুচাইনালায়, পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সুরমা বিধায়িকা

Spread the love

মাত্র ২০ টাকার অপবাদে কিশোরের আত্মহনন

মাত্র ২০ টাকার অপবাদে কিশোরের আত্মহনন, শোকের ছায়া কুচাইনালায়, পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সুরমা বিধায়িকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, যশপাল সিং, ত্রিপুরা

মাত্র ২০ টাকার চুরির অভিযোগে প্রাণ গেল এক কিশোরের। ধলাই জেলার সুরমা কেন্দ্রের কুচাইনালা গ্রামে এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় স্তব্ধ সমগ্র এলাকা। মৃত কিশোরের নাম রনি দাস (১৬), সে কমলপুর দ্বাদশ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। মেধাবী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে।
আজ মৃতের বাড়ীতে পৌছলেন বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল। তিনি বলেন, “আজ সুরমা বিধানসভার কুচাইনালা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১০ নং বুথের বাসিন্দা জুয়েল দাস মহোদয়ের কনিষ্ঠপুত্র শ্নেহের রঁনির অকাল প্রয়াণের সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আজ তাঁদের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যেন প্রয়াত আত্মাকে চিরশান্তি দান করেন এবং শোকাহত পরিবারকে এই গভীর দুঃখ সহ্য করার শক্তি প্রদান করেন।”

ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার সকালে। রনির বাবা জুয়েল দাসের কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে গ্রামের ধন সিংহের দোকানে যায় রনি। অভিযোগ, দোকান মালিক হঠাৎই তাকে ক্যাশবাক্স থেকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে ধরে দোকানের পেছনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে মারধর ও অপমান করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় এক কাঠমিস্ত্রি পুরো ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। কিন্তু পরে রনির কোনও খোঁজ না পেয়ে তার বাবা জুয়েল দাস খোঁজ করতে গিয়ে দেখতে পান, বড় রাস্তায় নির্মীয়মাণ একটি ঘরে কীটনাশক খেয়ে ছটফট করছে রনি। তড়িঘড়ি তাকে কমলপুর বিএসএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ধলাই জেলা হাসপাতালে, পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আগরতলা জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সেদিন রাতেই মৃত্যু হয় রনির।

মৃত্যুর আগে নিজের বড় বোনকে রনি বলে যায়— মা-বাবাকে দেখে রাখিস। এই শেষ কথা এখন এলাকাজুড়ে আরও বেদনার সঞ্চার করেছে।

ঘটনার পর গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, এক শিক্ষিত ও প্রতিভাবান ছাত্রকে মিথ্যা অভিযোগে অপমান করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *