স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে কীর্ণাহারের দেব গোপাল, NEET-এ সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ১৬১৯৫

দেব গোপালের সাফল্যের খবরে এদিন রাতেই তার বাড়িতে পৌঁছান শিবচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা। তাঁরা তাঁকে সাদরে সংবর্ধনা জানান, এবং দেব গোপালের বাবা-মা ও দিদিকে মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানান। চোখে মুখে গর্ব আর আবেগের ছাপ স্পষ্ট।
পরিবারের প্রতিক্রিয়ায় মিশে ছিল বিস্ময় আর আনন্দ—“আমাদের ছেলে চুপচাপ পড়াশোনা করত, কখনও বড়াই করত না। আজ তার এই ফল আমাদের কাছে পরম প্রাপ্তি।
স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে কীর্ণাহারের দেব গোপাল, NEET-এ সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ১৬১৯৫
স্বপ্ন দেখেছিল চিকিৎসক হওয়ার। লক্ষ্য স্থির রেখে নিঃশব্দে এগিয়ে গিয়েছিল সেই স্বপ্নপথেই। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে সামান্যর জন্য প্রথম দশে নাম ওঠেনি, তবুও ভাঙেনি মনোবল। এবার সেই অধ্যবসায় ও নিষ্ঠারই সার্থক ফসল—২০২৫-এর NEET পরীক্ষায় দেব গোপাল রায়ের সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ১৬১৯৫।
কীর্ণাহার শিবচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র দেব গোপাল রায়, যার উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে স্থান হয়েছিল দ্বাদশ। ফল প্রকাশের পর তার মুখে শোনা গিয়েছিল একটাই কথা—”আমি চিকিৎসক হতে চাই, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।” আজ সেই স্বপ্নের সিঁড়িতে পা রাখল সে। এই অসামান্য সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার, শিক্ষক-শিক্ষিকা, এবং গোটা কীর্ণাহার।
দেব গোপালের সাফল্যের খবরে এদিন রাতেই তার বাড়িতে পৌঁছান শিবচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা। তাঁরা তাঁকে সাদরে সংবর্ধনা জানান, এবং দেব গোপালের বাবা-মা ও দিদিকে মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানান। চোখে মুখে গর্ব আর আবেগের ছাপ স্পষ্ট।
পরিবারের প্রতিক্রিয়ায় মিশে ছিল বিস্ময় আর আনন্দ—“আমাদের ছেলে চুপচাপ পড়াশোনা করত, কখনও বড়াই করত না। আজ তার এই ফল আমাদের কাছে পরম প্রাপ্তি।”
দেব গোপাল যেন আজ শুধু একজন সফল পরীক্ষার্থী নয়, বরং হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অনুপ্রেরণা। গ্রামের ছেলে হয়েও শহরের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়ে নিজের জায়গা করে নিয়েছে সে। কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা আর স্বপ্নের প্রতি অবিচল বিশ্বাসই যে সাফল্যের চাবিকাঠি, তা আরও একবার প্রমাণ করল দেব।
চিকিৎসা পরিসেবায় পিছিয়ে থাকা কীর্ণাহার হয়তো আগামী দিনে পেতে চলেছে এক উজ্জ্বল চিকিৎসক, যে শুধু মেধা দিয়ে নয়, মন দিয়ে মানুষের সেবা করবে। এই আশাতেই বুক বাঁধছে তার শিক্ষক, সহপাঠী ও প্রতিবেশীরা।
দেব গোপাল রায়ের সাফল্য শুধু তার নিজের নয়, এটি গোটা এলাকার গর্ব। ভবিষ্যতে সে চিকিৎসার জগতে যেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠুক, তেমনই তার মতো আরও অনেক ছাত্রছাত্রী যেন তার পথ অনুসরণ করে নিজের স্বপ্নপূরণের সাহস পায়—এই প্রার্থনাই আজ কীর্ণাহারের প্রতিটি ঘরে।