স্বনির্ভর ত্রিপুরা গড়তে নারীশক্তি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে জোর: মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শী বার্তা

Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা, যশপাল সিং, ত্রিপুরা:

ত্রিপুরাকে এক আত্মনির্ভরশীল ও সমৃদ্ধ রাজ্যে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে রাজ্যের নারীসমাজকে স্বাবলম্বী করে তোলা এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। আজ আগরতলার পোলো টাওয়ারে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সমন্বিত কৃষি ক্লাস্টার বিষয়ক এক জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক এবং ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের যৌথ আয়োজনে এই তিনদিনব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দেশের মেরুদণ্ড কৃষক সমাজকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অর্থনৈতিক প্রগতিতে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। একটি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর পরিবারই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ রাজ্যের ভিত্তি তৈরি করে। এই প্রেক্ষাপটে, জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অধীনে বাস্তবায়িত ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং ক্লাস্টার (Integrated Farming Cluster) প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে এবং গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আরও জানান, দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের আওতায় মহিলা স্বসহায়ক দলের সদস্যদের আয় বৃদ্ধির জন্য ভারত সরকার ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং ক্লাস্টারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে, ‘সম্পূর্ণতা অভিযান সম্মান সমারোহ’ উপলক্ষ্যে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০টি ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং ক্লাস্টার স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই ক্লাস্টারগুলির মূল লক্ষ্য হলো পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন এবং জীবিকা নির্বাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয় আনা। প্রতিটি ক্লাস্টারের মাধ্যমে ২৫০ থেকে ৩০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ‘লাইভলিহুড সার্ভিস সেন্টার’-এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে, যেখানে কৃষিসখী, পশুসখী, মৎস্যসখী এবং কমিউনিটি রিসোর্স পার্সনরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দেশের মেরুদণ্ড কৃষক সমাজকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অর্থনৈতিক প্রগতিতে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। একটি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর পরিবারই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ রাজ্যের ভিত্তি তৈরি করে। এই প্রেক্ষাপটে, জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অধীনে বাস্তবায়িত ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং ক্লাস্টার (Integrated Farming Cluster) প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে এবং গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আরও জানান, দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের আওতায় মহিলা স্বসহায়ক দলের সদস্যদের আয় বৃদ্ধির জন্য ভারত সরকার ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং ক্লাস্টারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে, ‘সম্পূর্ণতা অভিযান সম্মান সমারোহ’ উপলক্ষ্যে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০টি ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং ক্লাস্টার স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই ক্লাস্টারগুলির মূল লক্ষ্য হলো পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন এবং জীবিকা নির্বাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয় আনা। প্রতিটি ক্লাস্টারের মাধ্যমে ২৫০ থেকে ৩০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ‘লাইভলিহুড সার্ভিস সেন্টার’-এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে, যেখানে কৃষিসখী, পশুসখী, মৎস্যসখী এবং কমিউনিটি রিসোর্স পার্সনরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।

মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ৫৪ হাজার ১১৩টি স্বসহায়ক দল, ২ হাজার ৪৭০টি ভিলেজ অর্গানাইজেশন এবং ১৭৩টি ক্লাস্টার স্তরের ফেডারেশনে প্রায় ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার মহিলা সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও, তাঁদের আয় বৃদ্ধির জন্য ২ হাজার ৬২৮টি প্রোডিউসার গ্রুপ এবং ১১৮টি নন-ফার্ম কালেক্টিভস প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়েছে। স্বসহায়ক দলগুলির জীবিকা সুনিশ্চিত করতে ব্যাংক ঋণ, রিভলভিং ফান্ড এবং কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মতো সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও জানান, কৃষি ও প্রাণীসম্পদ নির্ভর জীবিকা অর্জনে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ ১৩ হাজারেরও বেশি মহিলা কৃষককে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘লাখপতি দিদি’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ত্রিপুরাতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১ লক্ষ ৮ হাজার ২৮১ জন মহিলা ‘লাখপতি দিদি’ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। বর্তমানে রাজ্যের গ্রামীণ মহিলারা কৃষি নির্ভর কাজ, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্যচাষ, ক্ষুদ্র উদ্যোগ, ক্যান্টিন ও ক্যাটারিং-এর মতো বহুমুখী কর্মযজ্ঞে যুক্ত হয়ে স্বনির্ভরতার পথে হাঁটছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই তিনদিনব্যাপী কর্মশালার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা রাজেশ্বরী এস. এম. এবং ডি.এ.ওয়াই-এন.আরএলএম-এর উপ-অধিকর্তা রমন ওয়াধওয়াও তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন। রাজ্য টি.আর.এল.এম.-এর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তড়িৎ কান্তি চাকমা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ দপ্তরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বুকলেটের আবরণ উন্মোচন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *