নদীয়া জেলার কালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ভোট যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে উত্তাপ। আগামী ১৯শে জুন ভোট গ্রহণ। তার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ছিল শেষ দফার প্রচার। আর সেই প্রচারের ময়দানে নামলেন রাজ্য রাজনীতির দুই প্রধান শিবির—তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। প্রবল বর্ষণকেও থামাতে পারেনি তাদের প্রচারের গতিকে। কালিগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রচারে মুখোমুখি তৃণমূল ও বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা
উপনির্বাচনের প্রচারে মুখোমুখি তৃণমূল ও বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা

বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কালিগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রচারে মুখোমুখি তৃণমূল ও বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা
নদীয়া জেলার কালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ভোট যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে উত্তাপ। আগামী ১৯শে জুন ভোট গ্রহণ। তার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ছিল শেষ দফার প্রচার। আর সেই প্রচারের ময়দানে নামলেন রাজ্য রাজনীতির দুই প্রধান শিবির—তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। প্রবল বর্ষণকেও থামাতে পারেনি তাদের প্রচারের গতিকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এদিন প্রচারে ঝড় তুললেন যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পৌঁছে গেলেন কালিগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে। জনসংযোগের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, শুনলেন তাদের অভাব-অভিযোগ। তিনি বলেন, “এই বিধানসভা এলাকায় এখনও অনেক অসম্পূর্ণ কাজ বাকি আছে। সেইসব কাজ সম্পন্ন করাটাই আলিফা আহমেদের একমাত্র লক্ষ্য। ঘরের মেয়েকে আশীর্বাদ করুন, যাতে বিপুল ভোটে জয় পেয়ে কাজের সুযোগ পান।”
অন্যদিকে বিজেপির তরফেও পাল্টা জবাব দিতে মাঠে নামলেন দুই হেভিওয়েট নেতা—বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলের প্রার্থী আশীষ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় এলাকায় পদযাত্রা করলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল শতাধিক কর্মী ও সমর্থক। বর্ষার তোয়াক্কা না করে গর্জে উঠল বিজেপির প্রচার। দুই নেতাই ভোটারদের কাছে আহ্বান জানান, “সোনার বাংলা গড়তে পরিবর্তন দরকার। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আনতে হলে বিজেপিকে সুযোগ দিন।”
তৃণমূলের পক্ষে “ঘরের মেয়ে” স্লোগান, আর বিজেপির পক্ষে “দুর্নীতিমুক্ত শাসন”—দুই দলই শেষবেলার প্রচারে সমস্ত শক্তি উজাড় করে দিল। শেষ পর্যন্ত কে হাসবেন বিজয়ের হাসি, তা জানা যাবে ২৩শে জুন, যেদিন প্রকাশিত হবে উপনির্বাচনের ফলাফল।