বিধায়ক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় সেলাই মেশিন বিতরণ, বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক। “কেন্দ্রীয় প্রকল্পে শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীদের বিকাশ”—- কটাক্ষ তৃণমূলের
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীদের বিকাশ” কটাক্ষ তৃণমূলের

বিজেপি বিধায়কের দপ্তর থেকে সেলাই মেশিন বিতরণ, উঠল পক্ষপাতের অভিযোগ
কেন্দ্রীয় খাদি মন্ত্রকের উদ্যোগে দেশের প্রান্তিক এলাকার মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তুলতে দেশজুড়ে চালু হয়েছে সেলাই মেশিন বিতরণ প্রকল্প। সেই প্রকল্পের আওতায় বুধবার বিকেলে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুইয়ের দপ্তর থেকে স্থানীয় ১৫ জন মহিলার হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট সংলগ্ন ক্ষুদিরাম মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই ছাড়াও বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত, যুবনেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সুদীপ চক্রবর্তী, মহিলা মোর্চার নেত্রী মনীষা শিকদার সহ একাধিক বিজেপি নেতা-নেত্রী।
তবে বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিতরণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় খাদি মন্ত্রকের কোনও আধিকারিকের দেখা মেলেনি। সেই সুযোগে প্রশ্ন তুলেছে জেলা তৃণমূল। দলের মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রকল্প গোটা দেশের মানুষের জন্য। অথচ বিজেপি বিধায়কের কার্যালয় থেকে সেই প্রকল্পের মেশিন বিতরণ হচ্ছে, বিজেপি নেতাদের হাত দিয়ে। খাদিমন্ত্রকের কোনও প্রতিনিধিও নেই সেখানে। আর মেশিন পেয়েছেন শুধুই বিজেপি ঘনিষ্ঠ মহিলারা। এটা কি ‘সবকা বিকাশ’ না ‘শুধু দলের বিকাশ’?”
এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই পালটা বলেন, “তৃণমূল সবকিছুতেই রাজনীতি দেখে, কারণ ওরা নিজেরাও তাই করে। প্রকৃতপক্ষে খাদি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দু’মাস আগে ১৫ জন প্রান্তিক ও গরিব মহিলাকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হয়েই তাঁরা মেশিন পেয়েছেন। কারও রাজনৈতিক পরিচয় দেখা হয়নি, দেখা হয়েছে কে কতটা প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী উপযুক্ত।”
তবে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক এখানেই থেমে থাকছে না। বিরোধীদের দাবি— কেন্দ্রের প্রকল্পের ব্যানারে দলীয় প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। পক্ষপাতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শহরের রাজনীতিতে জোর তরজা শুরু হয়েছে। শাসক দলের প্রশ্ন, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ” কি তবে ধোঁকা? আর বিরোধীদের যুক্তি, প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছনোই প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য।
এই বিতরণ ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব, পক্ষপাতের অভিযোগ আর পাল্টা পাল্টি রাজনৈতিক বক্তব্যে ফের উত্তপ্ত দুর্গাপুরের রাজনীতির আঙিনা।