গাড়ি করে অবুঝ কুকুর পাচারের চেষ্টা, গ্রামবাসীর তৎপরতায় হাতেনাতে ধৃত পাচারকারীরা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

গাড়ি করে অবুঝ কুকুর পাচারের চেষ্টা, গ্রামবাসীর তৎপরতায় হাতেনাতে ধৃত পাচারকারীরা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ত্রিপুরার ধলাই জেলার ছৈলেংটার ঘাঘরাছড়া গ্রামে অবৈধভাবে রাস্তার কুকুর পাচারের চেষ্টার সময় গ্রামবাসীর তৎপরতায় হাতে ধরা পড়ল এক পাচারকারী চক্র। অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি নিরীহ অবুঝ কুকুর। ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, যা ঘিরে ইতিমধ্যেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘাঘরাছড়া এলাকায় নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল ছৈলেংটা থানার পুলিশ। সেই সময় TR04D0280 নম্বরের একটি সন্দেহজনক গাড়িকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি কুকুর, যাদের অমানবিকভাবে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পাচারকারীরা ওই কুকুরগুলোকে বেআইনিভাবে অন্যত্র পাচারের চেষ্টা করছিল।
ঘটনার জেরে গাড়ির চালক সহ তিনজন পাচারকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এখানেই থেমে থাকেনি ঘটনা। উপস্থিত স্থানীয় জনতা অভিযোগ করেছেন, প্রথমে পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ‘রফাদফা’ করে পাচারকারীদের ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল বলেও দাবি গ্রামবাসীদের। এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে স্থানীয় মানুষ, তারা ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ দেখান এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবিতে সরব হন।
চাপের মুখে পড়ে পুলিশ শেষ পর্যন্ত পাচারকারীদের গ্রেফতার করে ও গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনাটি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছেন ঘাঘরাছড়া গ্রামের বহু বাসিন্দা।
নিরীহ অবুঝ প্রাণী কুকুরদের এভাবে নিষ্ঠুরভাবে পাচার করার এই ঘটনা শুধু পশুপ্রেমীদের নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এই ঘটনার দ্রুত ও কড়া তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।